নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বনানীতে সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত আফরোজা পারভীনের (৫৮) শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ডান পা কেটে ফেলা হবে কি না, সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে পায়ে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা রয়েছে। অস্ত্রোপচারের আগে তিনি শারীরিকভাবে ফিট কি না, সেটি জানতে করোনা পরীক্ষাসহ বেশকিছু পরীক্ষা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে দুর্ঘটনার পর দুদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত ঘাতক চালক ও সহকারীকে গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের নাম পরিচয় জানতে চেষ্টা করছে পুলিশ। আহত আফরোজার স্বজন, চিকিৎসক ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আফরোজার ছেলে আল আমিন বলেন, শুক্রবার বিকালে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তির পর ডান পায়ে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি ছোট অস্ত্রোপচারের পর ব্যান্ডেজ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শনিবার হাসপাতালের পরিচালক এসে স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে গেছেন। তবে ব্যান্ডেজ খোলা হয়নি। আজ অস্ত্রোপচার করা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের জন্য স্বজনদের কাছ থেকে বন্ডসই (অঙ্গীকারনামা) নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অস্ত্রোপচারের আগে করোনার পরীক্ষা ছাড়াও ইসিজিসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করাতে বলেছেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া মাথায় আঘাত পেয়েছেন কি না, সেটি যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন। এসব টেস্টের রিপোর্ট ভালো হলেই তবে অস্ত্রোপচার করা হবে।
শুক্রবার রাতে বনানী থানায় মামলা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত গাড়ির চালক ও সহকারীকে আটক করা যায়নি। তবে পুলিশ সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর নিচ্ছে ও সবকিছুর আপডেট জানাচ্ছে। বনানী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হাসপাতালে এসেও তার মাকে দেখে গেছেন। বনানী থানার এসআই আবদুল কাইয়ুম জানান, ঘটনার পর বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত চালক ও সহকারীকে আটক করা যায়নি। তাদের নাম-পরিচয় সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া গেলে সম্ভাব্য সব জায়গায় অভিযান চালানো হবে। দ্রুত তাদেরকে আটক করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী থেকে পিপিএল পরিবহনের একটি বাসে করে ঢাকায় ফেরেন পরমাণু শক্তি কমিশনের টেকনিক্যাল অফিসার আফরোজা বেগম। বনানী সৈনিক ক্লাব মোড়ে তাকে নামিয়ে দিলে রাস্তা পার হওয়ার সময় একই বাস তাকে চাপা দিয়ে ওপর দিয়ে চলে গেলে তিনি গুরুতর আহত হন।